STUDY MATERIAL
The study materials are developed presently in Bengali. These are now being translated, wherever possible, in local community languages to ensure that child’s mother tongue is used in early learning. As most of these languages do not have scripts, Bengali scripts are used in these translations. Bilingual persons having knowledge of any local community language are welcome to contribute in this work to build a repository of elementary textbooks in community languages. Next, for languages with scripts, transliteration into the language scripts may be taken up.
-
Study materials appropriate for the children and their local educators in the form of small books on Bengali, English and Mathematics are prepared. These books are manageable and easy for the children to handle, unlike the schoolbooks of intimidating huge size. All unnecessary repetitions, confusingly loud colourful pictures, and the big font size of text letters are carefully avoided. -
Along with the children, the local educator (Didimoni) also studies these books to educate herself appropriately and to know how to help the children proceed step by step in learning. The books of Vidyacharcha Kendra, unlike the school textbooks that are primarily teacher oriented, keep this particular requirement in focus—to be useful to both the local educators and the children. -
Using these books, even the parents as well as local educators with some school level education may help the children learn. The objective here is clear— help the children learn through proper understanding and practice of the basics of education, not just make them cram the lessons of the school textbooks, as done in coaching centres.
The study materials may be downloaded free in printable PDF booklet format
বিদ্যাচর্চা কেন্দ্রের পাঠ সংকলন
(প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ-প্রাথমিক স্তরের পাঠ্য)
বাজারের রঙ-বেরঙে ছাপা মোটাসোটা বইগুলোর পাশে বিদ্যাচর্চা কেন্দ্রের পাতলা চটি বই দেখে বিশেষ শ্রদ্ধাভক্তি হবে না। তাহলেও এমন বই-ই প্রয়োজন, যার বিশাল আকার আকৃতি শিশুর কাছে ভীতিপ্রদ নয়, যা শিশুহাতে নাড়াচাড়া সম্ভব, ও যা পড়ে নিয়ে সাধারণ শিক্ষিত অভিভাবক বা স্থানীয় দিদিমণিরা ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শেখাতে পারেন। এই ভাবনা থেকে অযথা রঙিন ছবি, বড় বড় হরফ ইত্যাদির যাবতীয় বাহুল্য বর্জন করে এই পুস্তিকাগুলো তৈরি হয়েছে বিদ্যাচর্চা কেন্দ্রগুলিতে শিশুদের লেখাপড়া শেখানোর ফসল হিসাবে। স্বভাবতই, ইস্কুলের পাঠ্যপুস্তকের সাথে তুলনা এসে পড়বে। তাই ইস্কুলের শ্রেণিভিত্তিক পাঠ্যের প্রেক্ষিতে বিদ্যাচর্চা কেন্দ্রের পাঠ সংকলনগুলির পর্যায়ক্রম ও পৃষ্ঠা সংখ্যা নিচের তালিকায় দেওয়া হল।
লেখাপড়ায় হাতেখড়ি (প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ)__প্রাক-প্রাথমিকের বাংলা, অঙ্ক ও ইংরেজি পৃ.56
লেখাপড়ায় হাতেখড়ি (তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপ) __প্রথম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, অঙ্ক ও ইংরেজি পৃ.84
অঙ্ক শেখার হাতেখড়ি (প্রথম ভাগ)__ দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির জন্য পৃ.71
অঙ্ক শেখার হাতেখড়ি (দ্বিতীয় ভাগ) __ চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির জন্য পৃ.131
অঙ্ক শেখার হাতেখড়ি (তৃতীয় ভাগ) __ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির পাটিগণিত পৃ.97
সহজ কথোপকথনে ইংরেজি শেখা (প্রথম খণ্ড)__ দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির জন্য পৃ.90
সহজ কথোপকথনে ইংরেজি শেখা (দ্বিতীয় খণ্ড)__চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির জন্য পৃ.92
সহজ কথোপকথনে ইংরেজি শেখা (তৃতীয় খণ্ড)__ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির জন্য পৃ.115
ইংরেজি ব্যাকরণ রীতি__ উচ্চতর শিক্ষার সহযোগী পুস্তক পৃ.103
কম্পিউটার চালানো শেখা ও জানা__ উচ্চতর শিক্ষার সহযোগী পুস্তক পৃ.152
শেখানোর সুবিধার জন্য প্রত্যেক শিশুর হাতেই বই দেওয়া প্রয়োজন। এতে শিশুর অভ্যেস হয় নিজে বই পড়ে শেখার। বইগুলি বাজারে বিক্রির জন্য নয়, শিশুদের বিনামূল্যে দেওয়ার জন্য। সকলেই যাতে বইগুলির প্রয়োজন মতো অল্পসংখ্যক কপি নিজেরাই কম্পিউটারের সাহায্যে প্রিন্ট করে নিতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে পিডিএফ বুকলেট ফরম্যাটে বইগুলি ডাউনলোড করার ব্যবস্থা রাখা হল।
লেখাপড়ায় হাতেখড়ি (প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ)
লেখাপড়ায় হাতেখড়ি (প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ)
আজকাল ইস্কুলের গণ্ডীতে (৬ বছর বয়েসে প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণি) প্রবেশের আগেই শিশুকে অনেক কিছু শিখে আসতে হয়, বাংলা, অঙ্ক ও ইংরেজি শেখার হাতেখড়ি হিসাবে। শিশুর এই শেখার যাবতীয় বিষয়গুলো সব বাহুল্য বর্জন করে স্পষ্ট করে রাখা হয়েছে প্রথম ধাপে ৭টি পাঠে (৩টি বাংলা ও ৪টি অঙ্কের) মোট ১৪ পৃষ্ঠায় ও দ্বিতীয় ধাপে ৯টি পাঠে (৩টি বাংলা, ২টি ইংরেজি ও ৪টি অঙ্কের) মাত্র ২৪ পৃষ্ঠায়।
লেখাপড়ায় হাতেখড়ি (তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপ)
লেখাপড়ায় হাতেখড়ি’-র প্রথম দুটি ধাপের পরে এই বইয়ের তৃতীয় ধাপে ১১টি পাঠে (৫টি বাংলা, ১টি ইংরেজি ও ৫টি অঙ্কের পাঠ) মোট ৪৩ পৃষ্ঠায় ও চতুর্থ ধাপের ৭টি পাঠে (৩টি বাংলা, ২টি ইংরেজি ও ২টি অঙ্কের পাঠ) মোট ৩৪ পৃষ্ঠায় রাখা আছে ইস্কুলের প্রথম শ্রেণি পর্যন্ত শিশুর শেখার যাবতীয় বিষয়গুলো। অধিকন্তু শেখানো আছে ঠিকভাবে পেনসিল ধরে টানা হাতে লেখা, হাতের কর গুনে ১০০ পর্যন্ত সংখ্যার যোগ-বিয়োগ, যা ইস্কুলের বইয়ে আজকাল মেলে না।
দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে ইংরেজি শেখা
কথায় শোনা ও বলা, বা নিদেনপক্ষে ভাষার বাক্যগঠন পড়ে শিখে নিয়ে বই বা পত্রপত্রিকার লেখায় ভাষাটা পড়ার পরিমণ্ডলে না থাকলে সে ভাষা শেখা দুঃসাধ্য। তাহলেও প্রত্যন্ত গ্রামের ইস্কুলে শিশুকেও ইংরেজি ভাষাটা লিখতে পড়তে হয়। আর তার পাঠ্য বই ভরে আছে একের পর এক ইংরেজি ছড়া, গদ্য ও পদ্য, যদিও ভাষাটার বাক্যগঠনগুলোই শেখানো হয়নি।
এটা আজ স্বীকৃত যে দ্বিতীয় একটি ভাষা শিখতে তা মাতৃভাষার মাধ্যমে শেখাই সঠিক পথ। তাই, তিনটি খণ্ডে ‘সহজ কথোপকথনে দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে ইংরেজি শেখা’ বইটা প্রস্তুত করা হয়েছে বাংলার মাধ্যমেই ইংরেজি শেখানোর লক্ষ্যে। বইগুলির মুখবন্ধে এই শিক্ষণ পদ্ধতির যথার্থতা উল্লেখ করেছেন অধ্যাপক পবিত্র সরকার।
ডাউনলোড পিডিএফ
ডাউনলোড পিডিএফ
ডাউনলোড পিডিএফ
Back to Top
অঙ্ক শেখার হাতেখড়ি
অঙ্ক শেখানোর সাবেকী নিয়ম ছিল প্রথমে ধারণাগুলিকে নির্দিষ্ট করে সংজ্ঞা দিয়ে বোঝানো ও সাথে সাথে সেই সংক্রান্ত অঙ্ক কষার পদ্ধতিকে উদাহরণসহ প্রাঞ্জল করে বুঝিয়ে অজস্র অঙ্কের অনুশীলনে সংজ্ঞা ও পদ্ধতিটাকে রপ্ত করানো। এরপর আসত কোনও বাস্তব সমস্যাকে অঙ্কের সমস্যা হিসাবে বর্ণনা করে তার সমাধান করতে শেখা। আজকাল অঙ্ককে বাস্তবানুগামী করে আকর্ষণীয় করে শেখাতে শেষ ধাপটাকে রাখা হয় প্রথমেই। এদিকে ইস্কুলের প্রাথমিক স্তরের শিশুরা পাঠ্য বইয়ে বাংলা বা ইংরেজিতে লেখা বাক্যগুলি পড়ে তার অর্থ অনুধাবন করতেই সড়গড় হয়নি। ফলে অঙ্ক শেখা হয়ে উঠেছে আর কঠিন। তাই সাবেকী পথেই এই বইগুলি তৈরি করা। ইস্কুলের পাঠ্য বইয়ের মতো আকার আকৃতিতে ভীতিপ্রদ নয়, অথচ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্য পাটিগণিতের যাবতীয় বিষয়ই সহজ করে বোঝানো ও অনুশীলন করানো আছে তিন খণ্ডে।
ডাউনলোড পিডিএফ
ডাউনলোড পিডিএফ
ডাউনলোড পিডিএফ
Back to Top
ইংরেজি ব্যাকরণ রীতি
আজকাল ইস্কুলে ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় আলাদা করে ব্যাকরণ পড়ানোর রীতি বাতিল হয়েছে। সেই সঙ্গে হারিয়ে গেছে ব্যাকরণ শেখার বই। এদিকে বিভিন্ন শ্রেণির ইংরেজি পাঠ্যপুস্তকের পাঠগুলিতে নানান জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে ইংরেজি ব্যাকরণের পদগুলির উল্লেখ। কোনও একটি বইয়ে গুছিয়ে না থাকার ফলে পরে প্রয়োজন হলে এগুলির ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়। আরেকটি সমস্যা হল, ইংরেজি ব্যাকরণের ব্যাখ্যাগুলি আবার ইংরেজিতেই লেখা। তাই, দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে ইংরেজি শেখার অঙ্গ হিসাবে এই বইয়ে রাখা আছে টিকার আকারে ইংরেজি ব্যাকরণের পদগুলির বাংলায় ব্যাখ্যা।
কম্পিউটার চালানো শেখা ও জানা
স্কুলশিক্ষাতেই কমপিউটার শেখানোর কথা ভাবা হয়েছে, ও সেই মতো ইস্কুলগুলিতে কমপিউটার দেওয়াও হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামের ইস্কুলেও গোটাকয়েক কমপিউটারের দেখা মিলবে। কিন্তু শেখাবে কে আর সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যারে ছোটখাট সমস্যা হলে সেই বা কে সারাবে? সেই কারণে এই বই। তাছাড়া কোনও শিক্ষার্থী কমপিউটার ব্যাপারটা সম্বন্ধে জানতে আগ্রহী হতে পারে। সে জন্য কমপিউটার বিষয়ে কিছু সাধারণ জ্ঞানের আলোচনাও রাখা।
স্থানীয় ভাষায় বিদ্যাচর্চা কেন্দ্রের পাঠ সংকলনের ভাষান্তর
লেখাপড়ায় হাতেখড়ি থেকে শুরু করে ১০ বছর বয়েস (ইস্কুলে প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণি) পর্যন্ত শিশু ধাপে ধাপে কী কী শিখবে তার পাঠ্যক্রম ও সেই অনুসারে একটা মূল কাঠামোয় পাঠগুলি নির্মাণ করা হয়েছে বাংলা ভাষায়। কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিশুশিক্ষার বিস্তারে প্রয়োজন বিভিন্ন স্থানীয় ভাষায় পাঠগুলির ভাষান্তর করে নেওয়া। শিশুশিক্ষায় মাতৃভাষার প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে কাগজেকলমে কোনও দ্বিমত না থাকলেও এই কাজটা যেন আর কিছুতেই হয়ে উঠছে না। ভারতের রাজ্যগুলিতে ভাষা বৈচিত্র্য এতটাই বিস্তৃত যে ছোট ছোট স্থানীয় জনগোষ্ঠির ভাষায় শিশুশিক্ষার পাঠ্যপুস্তক তৈরি করা হয়তো কেন্দ্রীয়ভাবে কোনও সরকারি উদ্যোগের পক্ষে সম্ভব নয়। অন্যদিকে এই ধরনের স্থানীয় ভাষায় পাঠ্যপুস্তকের বাজারি চাহিদা কোথায় যে কোনও লেখক বা প্রকাশক এই কাজে উৎসাহী হবে? অথচ বিভিন্ন রাজ্যে কেবলমাত্র স্বীকৃত প্রাদেশিক ভাষাতে ইস্কুলে শিশুশিক্ষার আয়োজনে যে ক্রমশ বিপন্ন হয়ে পড়ছে ছোট ছোট জনগোষ্ঠির ভাষাগুলি, হারিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের ভাষা বৈচিত্র্য !
কাজটা তাই স্থানীয় গোষ্ঠিসমাজের উদ্যোগেই করতে হবে। স্থানীয় জনগোষ্ঠির ভাষার পাশাপাশি বাংলা (বা ইংরেজি) ভাষাটাও পড়তে লিখতে জানেন এমন কোনও ব্যক্তি বিদ্যাচর্চা কেন্দ্রের পাঠ সংকলনগুলির ভাষান্তর করে দিলে তা সাদরে গ্রহণ ও ভাষান্তরের লেখক হিসাবে তাঁর অনুমতিক্রমে এখানেই প্রকাশ করা হবে। এছাড়া স্থানীয় ভাষায় লেখা অন্যান্য বিষয়েও শিশুপাঠ্যের পুস্তক এখানে প্রকাশ করা যেতে পারে। বিদ্যাচর্চা কেন্দ্রের আশা, এই পথে স্থানীয় উদ্যোগে স্থানীয় ভাষায় শিশুশিক্ষার পাঠ্যপুস্তকের এক ভাণ্ডার গড়ে তোলা যাবে। এই স্বপ্ন পূরণ হলে মা-বাবা বা স্থানীয় অভিভাবকরাও চাইলে পারবেন তাঁর নিজের ভাষাতেই তাঁর শিশুকে অন্তত অঙ্কের যোগ-বিয়োগ আর গুণ-ভাগ এবং সরকারের মান্য ও চলিত প্রাদেশিক ভাষাটা বাড়িতেই দেখিয়ে দিতে।